কি পেলাম সারা জীবনে-
না অনুপ্রেরণা, না স্বাধীনতা ?
দূর্বার শাসন, নিয়মের কঠিন রুঢ় বেড়ী।
এতটুকু স্নেহ, প্রেম, না ভালবাসা।
কুন কিছুতে নেই বিন্ধুমাত্র সব-ইচ্ছা।
যেন খাঁচায় বদ্ধ একটা সুন্দর পাখি।
ওড়ার ইচ্ছা থাকা সত্বেও পায়ে অদৃশ্য শিকল;
সুন্দর খাওয়া, পোশাক, সুগন্ধি দ্রব্য-চাকচিক্য।
তবুও মন চায়- আরো অনেক কিছু–।
কি সেই অনেক কিছু?
নিজেও জানিনা। অভাব তো নেই কিছুরই-
তবুও! পাওয়ার অতৃপ্ত আশা।
চাওয়াও খুব বেশি নয়। দু’ মুঠো ভাত,
বাঁধা- বন্ধনহীন জীবন- উড়বো স্বাধীন
পাখির মত নীল আকাশে মেঘের সাথে।
দেখবো পৃথিবীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।
কখনও নদী-ঝর্ণা, পাহাড়-গিরি, মরুভূমি,
আরও কত কি? কিন্তু, পারিবারিক বাঁধা।
নদীতে থাকে হাঙর, কুমীর-কামোট।
ঝর্নার ধার হয় পিচ্ছিল; ওখানে
যেতে হবে না, জীবনে আসতে পারে বিপদ।
এভাবে বেড়ে উঠেছি ঘরের ভিতরে
সযত্নে লালিত অপরূপ ক্যাকটাসের মত।
কিন্তু, বাইরের রুঢ় বাস্তবতার সম্বন্ধে সম্পূর্ণ অজ্ঞ।
পৃথিবিটা মনে হয় রঙ্গিন গ্লাসের মত,
চাঁদের মত সুন্দর। কিন্তু, না,
চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়েছি বারংবার।
কেননা, কঠিন পৃথিবীর কাছে আমি এক শিশু।
খাঁচায় বদ্ধ পাখির মত- পাখা থাকা সত্ত্বেও জানেনা উড়তে—-
কেননা, ভুলে গেছে।
-ঝড়ের পাখি
১৬-০৮-০৩