নীরবতা
তুমি একবার শুনে তো দেখো।
তোমাকে ছুঁয়েই সে আন্দোলিত হবে
কোন একদিন বাড়ীতে তাকে ডাকো
সে কথা বলার জন্য হয়ে আছে উন্মুখ ।
তাকে কিছু কথা বলতে দাও।
নীরবতা তোমার… আমার …
নীরবতা জড়িয়ে আছে-
নীরবতায়…
বহু আগেই সেখানে হারিয়েছে পৃথিবী-
আমার সময়গুলো কিন্তু সেখানেই থমকে আছে।
তোমাকে বলতে চাই আমার সাথে কি কি হয়েছে।
নিরবতা যেন এক ধাঁধা-
তুমি মিলিয়ে তো দেখো-
নীরবতা এক সুরের মূর্ছনা-
আসো এক সাথে গুনগুনাই…
সে কথা বলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
তাকে কিছু কথা বলতে দাও।
নীরবতা তোমার… আমার …
নীরবতা জড়িয়ে আছে-
নীরবতায়…
মায়াবী জ্যোৎস্নায়ও রয়েছে লাখো নীরবতা।
বৃষ্টির ফোটারও থাকে কি কণ্ঠ?
ব্যথিত হৃদয়েও ওঠে নীরবতার ধোঁয়া।
নীরবতা এক বিশাল আকাশ –
তুমি উড়তে তো আসো সেখানে-
নীরবতা এক উপলব্ধি-
তুমি কি করতে পারো তাকে অনুভব?
সে কথা বলার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে।
তাকে কিছু কথা বলতে দাও।
নীরবতা তোমার… আমার …
নীরবতা জড়িয়ে আছে-
নীরবতায়…
………………………
গানটা অবশ্যই সুন্দর। কিন্তু এর কথা আমার কাছে যেন এক মোহ! এতো সুন্দর ভাবে মানুষ ক্যম্নে লিখতে পারে? যদি এর ভাবানুবাদ
একধরণের দুঃসাহস! তবু মনের শান্তনা। Rashmi Singh মুল গানটির গীতিকার।
মাতাল
কেননা, পান করাও তো একটি উপাসনা।
ও মাতাল, কেমন মাতাল? যে নেশায় বুঁদ হয় না।
ও মাতাল, কেমন মাতাল? মদ খেয়ে যে তওবা করে।
ও মাতাল, কেমন মাতাল? জীবনে যার দুঃখ নেই।
ও মাতাল, কেমন মাতাল? যার পাশে আমি নেই।
প্রেম যে আমার দেবতা হায়- প্রেমিক যে মোর নাম।
প্রেমের প্রতিটি পদে পদে মৃত্যু যে খুব স্বাভাবিক।
প্রেমে জীবন দেয়াই তো প্রেমিকের কাজ।
ক্ষুদ্র খামার এর বৈশিষ্ট্য
তবুও সাধারণীকরণ করার জন্য ক্ষুদ্র খামারের একটা নির্দিষ্ট আয়তন নির্ধারণ করতে হবে। নিচের তথ্য থেকে বুঝতে সুবধিা হবে ক্ষুদ্র খামারের আয়তন কতটুকু হয়। তার আগে বলে রাখা ভালো যে, পৃথিবীর অর্থনৈতিক কাঠামো অনুযায়ী সমগ্র পৃথিবীকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়। যথা:
১) উন্নত বিশ্ব বা উত্তরাংশ: যা পৃথিবীর ধনী দেশগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব কম। শিল্প, প্রযুক্তি, অবকাঠামোসহ অন্যান্য দিক দিয়ে এগিয়ে।
২) অনুন্নত বিশ্ব বা দক্ষিনাংশ: যা মূলত পৃথিবীর গরীব (!), দূর্ভিক্ষ (!), দূর্যোগ (!) পীড়িত দেশগুলোকে প্রতিনিধিত্ব করে। এখানে ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি এখনো টিকে আছে। এখানে জনসংখ্যার ঘনত্ব উত্তরাংশের চেয়ে অনেক অনেকগুণ বেশি। আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ দেশই এই অংশের অর্ন্তভূক্ত। এই অংশকে কখনো তৃতীয় বিশ্বও বলা হয়ে থাকে।
(বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে যে এই বিভাজন কোন ভৌগলিক বিভাজন নয়। বরং অর্থনৈতিক বা মনস্তাত্বিক বিভাজন। তাই পৃথিবীর দক্ষিনাংশের অনেক দেশই উত্তরাংশের প্রতিনিধিত্ব করে।)
ক্ষুদ্র খামার এর ক্ষেত্রে দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে জমির মালিকানা। জমির মালিকানা কার হবে? ক্ষুদ্র খামার বলতে বোঝাচ্ছি যেখানে খামারের শ্রম, জ্ঞান, সময়, খামার ব্যবস্থাপনা প্রভৃতি যে ব্যক্তি ব্যয় করেন তিনিই ক্ষুদ্র খামারের মালিক (কোন কোন ক্ষেত্রে জমির মালিকানা তার না থাকলেও নিয়ন্ত্রণ তার হাতে থাকে)। পক্ষান্তরে বড় খামারের মালিকের কৃষি কাজের প্রাথমিক বিষয়গুলোর সাথে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকে না বললেই চলে। আরা যারা সেই খামারে কৃষি কাজ করেন তাদেরকে কৃষক না বলে কৃষি শ্রমিক বলাই ভালো। বাংলাদেশ সহ দক্ষিণাংশের অনেক কৃষক আছে যাদের নিজস্ব জমি নেই। যাদেরকে আমরা ভূমিহীন কৃষক বা বর্গাচাষী কৃষক বলি। অন্যদিকে দক্ষিণাংশের অনেক আদিবাসী কৃষক রয়েছে যাদের জমি ব্যক্তি মালিকানায় থাকে না। সেক্ষেত্রে এই সমস্ত কৃষক এর নিয়ন্ত্রণে থাকা খামারগুলোকে কী বলা হবে? হ্যাঁ ভূমিহীন কৃষক, বর্গাচাষী এবং আদিবাসী কৃষকের খামারগুলোও ক্ষুদ্র খামারের অর্ন্তভূক্ত হবে। বর্গা বা লিজকৃত খামার এর ক্ষেত্রে শর্ত থাকে যে জমির মালিককে যেন কৃষক চিনতে পারে এবং তার সাথে যেন প্রত্যক্ষ যোগাযোগ থাকে। ক্ষুদ্র খামারের জমির মালিকানা কখনোই কোন কোম্পানি বা কর্পোরেশন এর হাতে থাকবে না। কৃষক জমির মালিককে যেন ব্যক্তিগতভাবে চিনতে পারে এবং উভয়ের সাথে একটি ‘প্যাট্রন-ক্লাইন্ট’ সম্পর্ক থাকবে।
ক্ষুদ্র খামারের কৃষক হয় প্রধানত নারী এবং প্রবীণরাই। এরা শখে কিংবা কৃষির প্রতি ভালোবাসার জায়গা থেকে কৃষিকাজ করে থাকে। ক্ষুদ্র খামারের সাথে পরিবারের সকল সদস্যের শ্রমঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকে। পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় ফসলের এক অভয়ারণ্য হিসেবে বিবেচিত হয় ক্ষুদ্র খামারগুলো। কৃষির সাথে সাথেই প্রাণী সম্পদ (হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল প্রভৃতি) এবং মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা ক্ষুদ্র খামারের অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।
সবশেষে ক্ষুদ্র খামারে কোন ধরনের জিএমও বা একক প্রজাতির শস্য উৎপাদন করে না। পাশাপাশি, রাসায়নিক সার, কীটনাশক ব্যবহার করা হয় স্বল্পমাত্রায় বা হয় না বললেই চলে। কোম্পানির বীজ ব্যবহার করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজেদের সংরক্ষণে পরবর্তী মৌসুমের জন্য বীজ থাকে।
ক্ষুদ্র খামারগুলোর প্রাণ-প্রকৃতি আর জ্ঞানে সমৃদ্ধ হলেও সম্পদের (রিসোর্স) দিক দিয়ে একেবারেই তলানিতে। প্রযুক্তির ব্যবহার হয় একবারেই প্রান্তিক পর্যায়ের। বাজার এবং কোম্পানি নির্ভরশীলতা তুলনামুলক কম থাকে।
এই হলো অনুন্নত বা পৃথিবীর দক্ষিণাংশের ক্ষুদ্র খামারের বৈশিষ্ট্য। এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য যে খামারের থাকবে না। তা অবশ্যই বড় খামার। আশা করি এই বৈশিষ্ট্যের আলোকে আমরা খুব সহজে চিহ্নিত করতে পারবো কোনটি ক্ষুদ্র আর কোনটি বড় খামার।
এখন আসি শুরুর প্রশ্নে? আমরা কি চাই- ক্ষুদ্র খামার না বৃহৎ খামার? সেটি পাঠকের কাছেই ছুড়ে দিলাম। আমরা দুটি খামারকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করেই বিবেচনা করবো কোনটি আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রাণ-প্রকৃতি, প্রজন্ম এবং পৃথিবীর জন্য জরুরি। টেকসই উন্নয়নের জন্য আমরা কোন ধরনের খামার বেছে নেবো। আমিও ভাবতে থাকি। অন্য কোন লেখায় সেটি নিয়ে আলোকপাত করার ইচ্ছা রইল।
ক্ষুদ্র কৃষকের ক্ষুদ্র খামার : টেকসই, পরিবেশবান্ধব এবং খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ
বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বিদ্যমান চাষযোগ্য কৃষিজমি বা শস্যভূমি নিয়ে সারা পৃথিবীতে ধারাবাহিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। এই সমস্যা শুধু ৭০০ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য নয়। বরং সারা পৃথিবীতে দিনকে দিন বৃদ্ধি পাওয়া জৈব তেলের (biofuels) চাহিদাও এর মধ্যে অর্ন্তভুক্ত। কিন্তু চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- এই খাদ্য এবং জৈব তেলের চাহিদা অতি অবশ্যই এমন একটি পরিবেশবান্ধব উপায়ে করতে হবে- যেন সেটি টেকসই হয়। কৃষি কার্যক্রম যেন প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে আহরিত রাসায়নিক পদার্থের সর্বনিম্ন ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণবৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করার পাশাপাশি গ্রীন হাউস গ্যাস নির্গমণও কমাবে। পাশাপাশি এই পদ্ধতিতে চাষাবাদ যেন সারা পৃথিবীর লাখ লাখ কৃষকের কাছে লাভজনক কাজ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করে- সে বিষয়টিও বিবেচনা করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে একটি পন্থাই হতে পারে সমাধান। আর তা হচ্ছে ছোট ছোট কৃষি খামার।
একবছর পূর্বে ১০০ টাকায় যে পরিমাণ খাদ্য পাওয়া যেত। বর্তমান সময়ে তার চেয়ে ৩০ শতাংশ কম খাদ্য পাওয়া যায়। এই ধরনের চিত্র তেলসহ অনান্য উপকরণ ক্রয় করার ক্ষেত্রেও দেখা যায়। পরিবেশ বিপর্যয় কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের (climate change) ফলে এই অবস্থা দিনে দিনে আরও জটিল আকার ধারণ করছে। খরা, বন্যা এবং অন্যান্য অনির্দিষ্ট অপ্রত্যাশিত আবহাওয়ার ফলে শস্য ভূমিও হ্রাস পাচ্ছে।
আমাদের প্রজন্মের জন্য বর্তমান সময়কার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর বৈশ্বিক খাদ্য ব্যবস্থার স্থানান্তর ঘটানোর মাধ্যমে শিল্পভিত্তিক কৃষিকে টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব কৃষিতে স্থানান্তর করা। আমাদের অন্য একটি বিকল্প কৃষি নির্ভর উন্নয়ন প্যারাডাইম দরকার। যে কৃষি আমাদেরকে টেকসই প্রাণবৈচিত্র্যের জন্য সামাজিকভাবে উদ্বূদ্ধ করবে। সৌভাগ্যবশত, বর্তমানে এমন হাজারো নতুন এবং বিকল্প উদ্যোগ সারা পৃথিবীতে চর্চা হচ্ছে, যা আমাদের পৃথিবীর বাস্তুসংস্থানের অনুকূল। আর তেমন একটি চর্চা হচ্ছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কৃষি খামার। যা ক্ষুদ্র কৃষককে সংরক্ষণের মাধ্যমে জীবিকার নিশ্চয়তা প্রদান করে। পাশাপাশি, উৎপাদন প্রক্রিয়া অনেক বেশি স্বাস্থ্যসম্মত, নিরাপদ, বৈচিত্র্যময় খাদ্যের যোগানদার, বণ্টনের স্থানীয়করণ এবং ব্যবসা ও বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক।
বাস্তুসংস্থানের অনুকূল বেশিরভাগ টেকসই কাঠামো আমাদের ঐতিহ্যবাহী কৃষিব্যবস্থায় বিদ্যমান ছিল। এ ধরণের লক্ষাধিক উদাহরণ এখনো পর্যন্ত স্থানীয় গ্রামীণ কৃষিব্যবস্থায় বিদ্যমান। এই ধরণের ঐতিহ্যবাহী কৃষিব্যবস্থার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খামার শিল্পায়নভিত্তিক কৃষির জন্যও ফলপ্রসূ হবে যদি তারা প্রাণবৈচিত্র্যকে সংরক্ষণ করতে আগ্রহী হয় এবং রাসায়নিক সার এবং কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই বাৎসরিক উৎপাদন প্রক্রিয়াকে টেকসই করার মাধ্যমে। এই ধরণের কৃষি ব্যবস্থা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে পৃথিবীর খাদ্য চাহিদার যোগান দিয়ে এসেছে। যেখানে লোকায়ত জ্ঞানের ব্যবহারের মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে বাস্তুতন্ত্রের সমন্বয় ও সংরক্ষণ করে এসেছে।
Cyclone Shelters should be people friendly
ঈশ্বর মনে করেন – ভলতেয়ার
ঈশ্বর মনে করেন, সমস্ত কালোই খামারের সেকেলে (অবহৃত) জঞ্জাল (যন্ত্রপাতি),
ঈশ্বর মনে করেন, ইহুদীরা তার পুত্রকে হত্যা করেছে এবং তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
ঈশ্বর মনে করেন, সাদা মানুষ মাত্রই শয়তান-
ঈশ্বর (মনে করেন), তারা (সাদারা) ঈশ্বরের মনের খবর জানেন।
ঈশ্বর মনে করেন, আমাদের সকলের ইহুদীধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া উচিত;
ঈশ্বর মনে করেন, আমাদের সকলের অবশ্যই খ্রিস্টান হতে হবে এবং
অবশ্যই আমাদের সকলের ইসলামকে আলিঙ্গন করা উচিত;
ঈশ্বর মনে করেন, একমাত্র সত্য ধর্ম হচ্ছে হিন্দুধর্ম।
আর আমি-
আমি জানি, ঈশ্বর কি মনে করেন?-
ঈশ্বর মনে করেন, তুমি একটা পঁচা গলিত মাংস বই কিছুই নও।
ঈশ্বরের প্রথম পছন্দ একজন নাস্তিক!
ঈশ্বর মনে করেন, তোমার মত সকল মানুষই মন্দ,
ঈশ্বর মনে করেন, তোমার মত সকল মানুষই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের জন্য (অপমানজনক/ কুলাঙ্গার) বিব্রত কর বিষয়;
তুমি আত্মকেন্দ্রিক, ছোত মনের (হিসাবী), প্রথমে পাথর নিক্ষেপ কর
এবং পরে নিজের সুরক্ষার জন্য তাঁর নাম ব্যবহার কর।
ঈশ্বর মনে করেন, সূর্য পৃথিবীর চারপাশে ঘোরে-
ঈশ্বর মনে করেন, কোপারনিকাস বিভ্রান্তিতে ছিলেন,
ঈশ্বর মনে করেন, গর্ভপাতএকটি হত্যাকান্ড এবং
ঈশ্বর মনে করেন, বিজ্ঞান আমাদের যা কিছু দিয়েছে সবকিছুই ভুল।
ঈশ্বর মনে করেন, মহিলাদের এটা (গর্ভ ধারন এবং স্নতান জন্মদান) প্রাপ্য;
ঈশ্বর মনে করেন, এইডস এক প্রকার শাস্তি,
আমি তাদের ঘৃণা করি, যারা নিজের দূর্বলতার জন্য শয়তানকে দোষারোপ করে এবং
আমি তাদেরও ঘৃণা করি, যারা ঈশ্বরকে ধন্যবাদ দেয় যখন সবকিছু তার মনমত হয়।
আর আমি-
আমি জানি ঈশ্বর কি ভাবেন!
ঈশ্বর মনে করেন তুমি একটা গাধা (ইডিয়ট);
ঈশ্বরের প্রথম পছন্দ একজন পাষণ্ড!
ঈশ্বর! ঈশ্বর!
ঈশ্বর মনে করেন, তোমার মত সকল মানুষই মন্দ,
ঈশ্বর মনে করেন, তোমার মত সকল মানুষই এই বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের জন্য (অপমানজনক/ কুলাঙ্গার) বিব্রত কর বিষয়;
তুমি আত্মকেন্দ্রিক, ছোত মনের (হিসাবী), প্রথমে পাথর নিক্ষেপ কর
এবং পরে নিজের উদ্দেশ্য হসিলের তাঁর নাম ব্যবহার কর।
ঈশ্বর হলেন উদার,
ঈশ্বর হলেন একজন ডেমোক্র্যাট,
ঈশ্বর চান তুমি রিপাবলিকানে ভোট দাও।
সেই মানুষকে কক্ষনো বিশ্বাস করো না, যে কথায় কথায় ঈশ্বরের নাম মুখ আনে
এবং বলে যে এটা পরম সত্য;
বরং তা একেবারে মিথ্যা এবং তা থেকে মৃত্যুর গন্ধ আমি (ঈশ্বর) পাচ্ছি।
এটা এমন কাজ- যেন কোন গরীবের সারা দিনের উপার্জন কেড়ে নেয়া।
তোমারা এটি ভাবলে কি করে যে ঈশ্বরের দরকার
তোমার ঐ নোংরা অর্থের?
যদি তিনি একটি পবিত্র যুদ্ধ শুরু করতে চান?
আত্মকেন্দ্রিক, ছোত মনের (হিসাবী), প্রথমে পাথর নিক্ষেপ কর
এবং পরে নিজের সুরক্ষার জন্য তাঁর নাম ব্যবহার কর।
ঈশ্বরের মনে করেন অহংকারী যুবকদের মরে যাওয়া প্রয়োজন এবং
ঈশ্বর মনে করেন শিশুদের ডুবে মরে যাওয়া প্রয়োজন !
‘কারণ ঈশ্বর যেমন ভাল না ! তেমনি খারাপও না!
ঈশ্বর মানে তুমি এবং ঈশ্বর মানে আমি।
ঈশ্বর সবকিছু/ সবকিছুই ঈশ্বর।
-ভাষান্তরঃ বাহার
৯/৯/১৩, নারায়ণগঞ্জ।