কাব্যলক্ষ্মী

তুমি যক্ষের ধন,

হৃদয়ের হাসি।

তোমাকেই প্রিয়া আমি

বড় ভালবাসি।

তুমি গানের কথায় এসেছিলে প্রিয়,

        প্রানের কথায় এলে না।

তুমি দর্শণ সুখ হয়ে এলে তবু,

        প্রিয়তমা হয়ে এলে না।

তুমি বাঁশরীয়ার সুর হয়ে এলে,

        বাঁশি হয়ে তুমি এলে না।

তুমি মধুর কন্ঠের গান হয়ে এলে,

       শিল্পী হয়ে এলে না।

তুমি চাঁদের জোছনা, তারার আলো,

      চাঁদ কেন তুমি হলে না ?

তুমি ফুলের গন্ধ হলে,

      ফুল কেন তুমি হলে না ?

কৃষকের মাঠের ফসল  হলে তুমি;

      কৃষাণীর হাসি হলে না।

 নব বধূর সলাজ হাসি হলে

     বধূ কেন তুমি হলে না ?

কবিতার মাঝে ছিলে গো তুমি,

      কবির মাঝে ছিলে না।

জীবনে আমার সুখ হয়ে এলে;

     সুখী হয়ে কেন এলে না ?

কাল বোশাখীর ধ্বংস হলে,

    ঝড় হয়ে তুমি এলে না?

তুমি বৃষ্টি ঝরার ছন্দ হলে ;

    বরষা কেন হলে না ?

হাতের মাঝে এসেছিলে তুমি,

      ছোঁয়ার মাঝে  এলে না।

ভালবাসা হয়ে এলে গো তুমি-

      প্রেম হয়ে কেন এলে না ?

লেখনীর মাঝে এলে তবু, তুমি

       লেখার মাঝে এলে না।

দেখার মাঝে এলে গো তুমি,

       দেখা হয়ে কেন এলে না ?

হৃদয়ের মাঝে ছিলে তবু, তুমি

       আমার মাঝে ছিলে না।

ভুলের মাঝে এসেছিলে তবু তুমি

       ভুল হয়ে কেন এলে না ?

তুমি আশার মাঝে এসেছিলে তবু,

        আশা হয়ে কেন এলে না ?

তুমি স্বপনের মাঝে রাণী হয়ে এলে;

       জীবনের রাণী হলে না।

নিঃশ্বাসের মাঝে মিশে ছিলে তুমি,

      নিঃশ্বাস কেন হলে না ?

তুমি জীবনের স্পন্দন হলে

      জীবন কেন হলে না ?

আপনার মাঝে এসেছিলে তবু,

      আপন হয়ে এলে না,

কান্না হয়ে এলে কেন তুমি?

      হাসি হয়ে কেন এলে না?

তুমি নয়নের মাঝে ধরা দিলে এসে,

      হৃদয়ের মাঝে এলে না।


তুমি কাব্যলক্ষ্মী হয়ে এলে শুধু……

লক্ষ্মী হয়ে এলে না।

ঝড়ের পাখি (০৫-০৯-০২)

Recommended Posts