প্রধান উৎস যথাক্রমে মজুরি, লাভ এবং জমির মূল্য। অন্যভাবে বললে, আধুনিক সমাজের পুঁজিবাদী
উৎপাদন ব্যবস্থায় তিনটি বড় ধরনের শ্রেনী দেখা যায়। যথা- ক) মজুরি শ্রমিক, খ)
পুঁজিপতি, এবং গ) ভুমি মালিক।
স্বভাবতই অর্থনৈতিক ভাবে উন্নত। সেখানে শ্রেনীর সঠিক চিত্রটি দেখা যায় না। সেখানে
মধ্যবিত্ত একটি শ্রেনী দেখা যায়। যা গ্রামীন এলাকার তুলনায় শহরে বেশি দেখা মেলে।
আমরা দেখি যে, পুঁজিবাদী অর্থনীতি ব্যবস্থার ধারাবাহিক প্রবণতা এবং অন্যতম শর্ত
হচ্ছে- উৎপাদনের উপকরণ গুলো থেকে শ্রমিকদের বিচ্ছিন্ন করা। পাশাপাশি উপকরণ গুলোকে বৃহৎ
গ্রুপের (Large Group) মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। যার মাধ্যমে শ্রমিক শ্রেনী স্বনির্ভর শ্রমিক থেকে মজুরি
নির্ভর শ্রমিকে পরিণত হচ্ছে এবং উপকরণ গুলো রূপান্তরিত হচ্ছে পুঁজিতে।
প্রশ্ন হচ্ছে-
তৈরি করে?
বড় সামাজিক গোষ্ঠী দেখা যায়। যার সদস্যের পৃথক করা সম্ভব হয় যথাক্রমে তাদের
জীবনধারণের উপযোগী মজুরি (Wages), মুনাফা (Profit) এবং গোষ্ঠীবদ্ধ ইন্টারেস্ট
(Group Interest) এর উপর ভিত্তি করে। এই জীবিকা তারা সংগ্রহ
করে তাদের শ্রম ক্ষমতা, পুঁজি এবং ভূসম্পত্তি থেকে।
প্রশ্নের সৃষ্টি। তাহলে ডাক্তার এবং
চাকুরিজিবীরা কোন শ্রেনীর অন্তর্ভুক্ত। এদের আয়ের উৎস সম্পর্কে অবগত হলে
এদের শ্রেণী সম্পর্কে ধারনা লাভ করা সম্ভব। এরাও দুইটি সামাজিক শ্রেনীতে বিভক্ত।
প্রত্যেক গ্রুপের সদস্যদের আয়ের উৎস একই। কেননা তারা পুঁজিপতি কিংবা ভুমি মালিকের
কাছ থেকে তাদের আয় পেয়ে থাকে।