আবোল তাবোল

এই পৃথিবী অনেক বড়
ইচ্ছে মতোন সাজতে পারো
সাজার সমান মিলবে সাজা
এক ছিলেম মিলবে গাঁজা?
সুখটানে যাবো ভুলে কষ্ট শত
রক্ত জমাট বুকের কাঁপন
থমকে গেলেই সমাপ্তি হায়
কিসের হিসাব গোলমেলে সব।
রবের তরে সিজদাহ দিলেই
কবিতা সব উৎসর্গ তবে
খেরোখাতায় হিজিবিজি
আবোল তাবোল লিখছে কবি।
জুন ১৯, ২০২২

স্বপ্ন বেঁচো

তোমরা যারা স্বপ্ন বেঁচো
হাজার ঘরে, বাজার দরে
বলতে পারো কেমন তরো ভাও?
বুকের ক্ষত লুকিয়ে রেখে
আয়েশ করে মধু মাসে
আম-মুড়ি মাখিয়ে খাও?
কক্সবাজার, জুন ২৫, ২০২৩

মৃত্যু আলিঙ্গন

মৃত্যু আলিঙ্গনে জন্ম আমার এই পৃথিবীর তরে

মৃত্যু গুনেই পার করিলাম জন্ম সমান তালে

অস্থিরতায় সাঙ্গ হলো ফুলসজ্জার রাত

সময়গুলো অসময়েই শেষ রইলো পরে বাত

পথ ফুরালো, রথ ফুরালো ছাড়লো রাহী হাত

মরবো বলেই প্রেমের গরল পান করিবার সাধ।।

 

হেলথ এন্ড হোপ, ঢাকা, জুন ২৮, ২০২২

ডেথ নোট

এই ছোট্ট জীবনে কষ্ট পুষে রাখার কোন মানে নেই
সব কিছুই উড়িয়ে দাও বাতাসে
মিশে যাক আকাশে, মেঘে, জোছনায়
জোছনারা যুগ থেকে যুগেই শুধুই ফাঁকিই দেয়
ভালোবাসার আড়ালে জড়ালে মরেছো স্বেচ্ছায়
এ যেন নিজের মৃত্যু বয়ান লেখা নিজের হাতে
পাতে পড়ে থাকা দুটো কাঁচা লঙ্কা আর আধা পেঁয়াজ
মুখে বয়ে বেড়ানো তীব্র গন্ধ আর সাথে তৃপ্তির ঢেকুর।।
কুকুর গুলোই শুধু পাশেই থাকে যতো করুক ঘেউঘেউ
ময়না-শালিক উড়ে যায় যতোই শোনাক মিষ্টি বাণী
বীণায় সুর তুলে ভুলে যাওয়া শোক মদিরার পেয়ালায়
আমি কি আর আমি আছি?
কবেই মিশে গেছি তোমাতে অবলীলায়।।
অবেলায় তাই আর আমার যাওয়া হলো না
নাওয়া, খাওয়াও রইলো পড়ে
কবিতায় লিখে রাখা কান্নার আঁচড়
বুকের গভীরতর গভীরে
পারলে ক্ষমা করে দিও এ কবিরে!
জুন ২৮, ২০২২

ভণ্ডামি

তোমরা শালা স্তুতি গাও এখনো প্রথাকে, আমলাকে-
আমরা কি তবে যাচ্ছে তাই খেটে মরি কামলাকে-
নাকি ভাবছো তারাই তোমার লাগবে কাজে-
জেনো পাড়ার কুকুরটা ছাড়া আর সব বাজে-
তুমি যারে তেল মারো- সে মারে তার চেয়ে বড় কারো-
ভেবো না এই জীবনে গন্তব্য একটাই; রাস্তা আছে হাজারো।
সবকিছু ভাই আপেক্ষিক – দাবার চালের গুটি
কখন পাশা পালটে যাবে বুঝবে নিজেই।
যে ছেলেটা আজ কৃষক, দোকানদার কিংবা শিক্ষক প্রাইমারির
ভাবছো মেয়েটার বৃথাই জীবনটা স্নাতকোত্তর গৃহিণীর
জীবন শেষে হাসবে কে আর কাঁদবে কে?
হিসাব কষে বলতে পারবে কে?
যা কাজে লাগে না তার বিরোধিতা করে- তাকেই করো পূজা
ছি! ধিক্কার তোমায়- কথা কাজে মিল নেই- নোংরায় মাথা গোঁজা।
প্রশংসা করো নিজেকে, যার মাথায় নেই তাজ।
রাজাই সে তার জীবনের- নাইবা থাকুক রাজ।

প্রিয়ম-০৬

ওর জন্য বেঁচে থাকা
ওর জন্যই সব।
ওর জন্য সন্ন্যাসী আমি
হয়েছি বৈষ্ণব।
ক্লান্ত আমি হই না এখন
দেখলে অভিমান;
নিমিষেই সব উবে যায়
সাজানো- গোছানো প্ল্যান।
ঢাকা, জুলাই ২৯, ২০১৮

আজন্ম যাযাবর

তোমার অস্তিত্বে মিশিয়ে দেবো মদিরা
নেশাতুর হয়ে ফিরবে চতুর্দিক
খুঁজে মরবে আমায় তোমার স্মৃতিতে
আগুনমুখো পতঙ্গের ন্যায় পুড়ে মরবে বিরহে-
কিছু চাওয়া না পাওয়ায় থাক
সবকিছু পাওয়া হলে মূল্যহীন আমিও
কেন বলো এমনতরো ভালোবাসা
সুখের চেয়ে পাল্লাভারী দুখের।
আমি তো আজন্ম যাযাবর
শেকড় গজে না উর্বরতম ভূমিতেও
ভেসে চলি তালহীন ছন্দহীন অজানা গন্তব্যে
মনে রেখো কান্নায় ভেঙ্গে পড়ার মূহুর্তেও
দূরে কোথাও চেয়ে আছি
বেঁচে আছি একই অনুভূতি নিয়ে
স্মরে আমাদের পথচলার খেয়ালে
বেখেয়ালে হাজির হবো তোমার দরজায়—-
জুবা, সাউথ সুদান, আগস্ট ১৯, ২০২৩

স্বার্থপর

নিজেকে নিজের কাছে সঁপে দেখুন
কতটা নির্ভার থাকবেন
নিজেকে নিজের সামনে দাঁড় করান
দেখবেন কতটা সুন্দর
নিজের প্রাপ্তি আর অর্জনগুলোর একটি তালিকা করুন
কতকিছুই করছেন জীবনে
নিজের হারিয়ে যাওয়া বন্ধুগুলোকে খুঁজুন
দেখবেন পেয়ে যাবেন এক বিশাল গুপ্তধন
নিজেকে ভালোবাসতে শুরু করুন
পেয়ে যাবেন শ্রেষ্ঠ ভালোবাসা
আত্মবিশ্বাস, আত্মপ্রেম আর আত্ম মহিমায়
হয়ে উঠুন স্বার্থপর।।
জুবা, সাউথ সুদান, আগস্ট ২৮, ২০২৩

কেউ নেই

মনে রেখো, জেনে রাখো

একদিন মরে যাবো

উড়ে যাবো আকাশে

বিশ্বাসে, নিঃশ্বাসে

কেউ নেই

বুক খানি ফাঁকা সে।।

 

জুবা, সাউথ সুদান, আগস্ট ২৮, ২০২৩

বেরসিক পৃথিবী

পৃথিবী বড্ড বেরসিক
রস-কস বোঝে না।
যা চাই তা মেলে না
মেলালেও বুঝি না।
খুঁজি ফিরি ভিন্ন কিছু
অন্য কোথাও অন্য কাউকে।
বন্য হয়েও সভ্য সাজি
অপছন্দে নিম রাজি।
আর কি করবেন বলে
বেঁচে থাকার মাঝেই বিজ্ঞতা।
কবি আর কবিতা আজ সন্ধ
অন্ধ হয়ে যাই মনে হচ্ছে।
নেই সেখানে একটি নতুন
করে উড়তে শেখার মানে।
যে পাখি আসে যায় সেই
একই অনুভূতি প্রকাশ করা।
সেপ্টেম্বর ১, ২০২৩