“পুরাতন জিসিন কি ডিম পাড়ে?”- আসুন বেঁচে দিই!
সহিষ্ণুতা : শৈশবেই শিখতে হবে প্রাণ ও প্রকৃতি থেকে
প্রশ্ন হচ্ছে আমরা কেন সহিংস হচ্ছি বা সহিংস হয়ে পড়ছি? কিংবা কিভাবে আমাদের মধ্যে এই আচরণ তৈরি হচ্ছে? মনোবিজ্ঞান কিংবা আচরণ বিজ্ঞান হয়তো এর সঠিক ব্যাখ্যা দিতে পারবে।
এ বিষয়ে আমার নিজের একটি ব্যাখ্যা আছে। ব্যাখ্যাটা আপনি মানতেও পারেন আবার নাও মানতে পারেন। কিন্তু ব্যাখ্যাটা আমার কাছে যৌক্তিক মনে হয়েছে।
এভাবে আস্তে আস্তে এই সহিংসতা উদ্ভিদ এবং প্রাণী থেকে রূপান্তরিত হয় মানুষে। তাই আমরা ধরেই নিই যে, ছোট বোনটার চুল টেনে দেয়াটা অপরাধ নয় কিংবা দূর্বল বন্ধু কিংবা ছোটদেরকে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দেয়া কোন ব্যাপারই না! অন্যদের সাথে অকারণে মারামারি, ঝগড়া এগুলোও হয়ে ওঠে অনুসঙ্গ।
পরবর্তীতে বড় হওয়ার সাথে সাথে এই আচরণগুলো বড় হতে থাকে। বোনের উপর অত্যাচার রূপান্তুরিত হয় বউ কিংবা রাস্তায় হেটে যাওয়া মেয়েটার ক্ষেত্রে- নারী নির্যাতন বা অধুনা ‘ইভটিজিং’। ছোট-খাটো চুরি রূপান্তরিত হয় চাঁদাবাজি কিংবা ছিনতাই এ।
ইউথোনেশিয়া
পারাপার।
বিক্ষিপ্ত মন
আমি আমাকেই চিনতে পারছি না।
খুঁজে ফিরি নিজেকে এক নিজের সাজানো জনারণ্যে।
পাশে সবাই আছে, কিন্তু মনে হচ্ছে আমি একা- একলা বনবাসে।
সীতাও নেই, নেই লক্ষ্মণ কিংবা গরুড় পাখি-
হনুমান তো কবেই নিজেই রাম বনে গেছে ভক্তির আদিখ্যেতায়।
চারপাশে সবাইকে রাম মনে হয়- আর আমি রাবণ।
খারাপ সম্পর্ক ভাল সম্পর্ক
মানুষের সাথে আর একজন মানুষের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক কেন একটি ছোট কথা বা ঘটনার
মাধ্যমে নষ্ট হয়?
সম্পর্কের সাথে সাথে সমান্তরাল এবং উলম্বিক ভাবে দুটি বিষয় যুক্ত থাকে। যথাঃ ক) ভাল ঘটনা/কথা
বিপরীত টিকে প্রকট। ভাল সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভাল ঘটনা/কথাকে প্রকট হিসেবে চিহ্নিত
করে এবং বিপরীতে খারাপ ঘটনা/ কথাকে প্রচ্ছন্ন হিসেবে চিহ্নিত করে।
কিন্তু দুটি ঘটনার গুরুত্ব কিংবা প্রভাব হয়তো একই। কিন্তু প্রচ্ছন্ন ঘটনা
গুলো জমতে থাকে এবং প্রকট গুলো প্রকাশ পেতে থাকে- হারাতে থাকে (প্রকাশ পেতে পেতে
সেটি বিলীন হয়ে যেতে পারে। মানে আমাদের কাছে সেগুলো স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন হয়।)
পুঞ্জিভূত খারাপ ঘটনা/ কথা বিগ ব্যাং এর মতো বিস্ফোরিত করে দেয়। ফলশ্রুতিতে
দীর্ঘদিনের ভাল সম্পর্কের ইতি ঘটে একটি খুবই আপাত সাধারণ ঘটনা বা কথার মাধ্যমে।
প্রচ্ছন্ন বৈশিষ্ট্যগুলো বিস্ফোরিত হবে সেটি নির্ধারণ করে দেয় পরিবেশ এবং
পারিপার্শ্বিক বিভিন্ন ঘটনা সমূহ।
ঘটনা বা কথাকে ঐ দুজন মানুষ কে কি ভাবে গুরুত্ব দিল তার উপর।
সেটি নির্ভর করে কোন একজন বা উভয়ই ঐ একটি কথা কিংবা ঘটনাকে কিভাবে জিইয়ে রাখছে-তার
উপর।
ফিরে আসবে না- নতুন সম্পর্কে মোড় নিবে?
সম্পর্ক-কানা
ভাল ছেলে, ভাল ছাত্র, ভাল মানুষ, ভাল বন্ধু, ভাল কর্মী, ভাল সন্তান, ভাল স্বামী হতে গিয়ে আমি আজ বড়ই ক্লান্ত।
খুব খারাপ হতে মন চায়। একদম পুরো দস্তুর এক খারাপ ছেলে। এত খারাপ যেন কেউ আমার কাছ থেকে ভাল কিছু আশা না করে।
বন্ধুরা অভিমান করে তাদের কেন খোঁজ নেই না। বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন তাদের একই অনুযোগ, শুভাকাঙ্ক্ষী তো দিন দিন কমতির পথে। আমার শ্রদ্ধেয় শিক্ষকরাও পর্যন্ত এই অভিযোগ করতে থাকে।
কাজের সূত্রে প্রতিদিন ২/১ জনের সাথে পরিচয় ঘটে। তাদের আথিতেয়তা আর ভালবাসায় প্রতিদিন ঋণী হচ্ছি- দিনকে দিনকে।তাদেরও ঠিক মতো খোঁজ নেয়া হয়ে ওঠে না।
আমি আসলে পেরে উঠিনা। আমার হয়তো ধ্যাতে নেই।আমি বেশ সম্পর্ক কানা। আমি কোন সম্পর্ক ধরে রাখতে পারি না বা মেইনটেইন করতে পারি না।
কিংবা আমি মানুষের ভালবাসার মুল্য দিতে পারি না। কত মানুষ ভালবাসার ঋণে আবদ্ধ করে রেখেছে।কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা হয়ে ওঠে না। এই মুহূর্তে মনে পড়ছে তিন জন বন্ধুর মায়ের কথা- রাজু, জীবন আর সাগরের। তাদের তিন জনের সাথে আমার সম্পর্ক অল্প সময়ের। কিন্তু সেই অল্প সময়ের মধ্যেই এই তিনজন অনেক আপন করে নিয়েছেন। কিন্তু আমি এক হতভাগা পালিয়ে বেড়াই তাদের ভালবাসার বাঁধন থেকে। অসম্ভব এক চুম্বকীয় শক্তি আকর্ষণ করি তাদের প্রতি। আবার ছুটে চলে আসি দূরে। কেন- তার উত্তর নেই। তবে সত্যি বলছি- আমিও আপনাদের খুব ভালবাসি এবং মিস করি। কিন্তু আপনাদের ভালবাসায় বিলীন হয়ে জাওয়ার ভয়ে হয়তো পালিয়ে বেড়াই নিজের থেকে আরো যোজন-যোজন দূরে।
অনেকটা কাঁকতলিয় ভাবে পরিচিত হয়েছিলাম একজন অবসর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তার সাথে। তিনিও আমাকে বেশ ভালবাসলেন। আমি তাকে আমার এই ‘সম্পর্ক-কানা’ র কথা খোলাখুলি বললাম। তিনি আমাকে ভুল বুঝলেন। সকল ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলেন। আমি হয়তো তাকে বোঝাতে ব্যর্থ হয়েছিলাম।
আমার সাথে খুব ভাল যোগাযোগ নেই আমার কর্মজীবনের শেষ তিন জন সুপারভাইজারের সাথে। হয়তো আমার দিক থেকে কোন ত্রুটি ছিল।তবে এতটুকু বলতে পারি- যখন একসাথে কাজ করতাম তখন কারোর সাথে সম্পর্কের অবনতি ঘটেনি।
আমি এক চরম ‘সম্পর্ক-কানা’।
-ঝড়ের পাখি
৩-১৩-১৬
স্রোতের বিপরীতে
ছোট বেলায় যা শিখেছি জীবন থেকে যা শিখছি
…………………………… ………………………………
অন্যায়ের কাছে মাথা নত করো না ঃ সবখানে মাথা তুলতে নেই
মানুষ মাত্রই ভুল করে ঃ কর্তা দের কোন ভুল হয় না
বক্স এর বাইরে ভাবতে শেখো ঃ বক্স এর ভিতরেই থাকো
ভুল প্রশ্ন হলেও প্রশ্ন করো ঃ সবার কাছে প্রশ্ন করতে নেই
যুক্তি দিয়ে ভাবতে শেখো ঃ ভেবো না- করে যাও
জ্ঞান অন্বেষণ করো ঃ সব কিছু জানতে চেয়ো না
মাথার মরণ
চারিপাশে হাজার হাজার অসংগতি তবু।
প্রশ্ন করে বৃথা তোমার নাড়াবো গদি
মাথার ভিতর, মনের ভিতর প্রশ্ন থাকেও যদি।
আমায় নিয়ে মিছে চিন্তা; আর পেয়ো না ভয়।
মরবো ধীরে ধীরে- স্বেচ্ছা মরণ জানবে না কেহ,
ধরণী পরে চলবে ফিরবে আত্মা বিহীন দেহ।
২৮-০১-১৫