খুদে বার্তা

আমি ভালো নেই-
এক খুদে বার্তার প্রতিক্ষায়
প্রতিদিন, দিনমান বসে থাকি
খুলে সকল জানালা, দরজা, কপাট
তবু দেখা নেই, নেই আভাসও
তবু বসে আছি সেই বার্তার আশায়
বাসায়, ভাসায়, ভাষায়।
অস্থির হয়ে যাই-
ভয় পাছে যদি পাই।
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯

অফার লেটার

আমি কক্ষনো কোন চিঠি পাইনি-
কোন খোলা ডাকে, পোস্ট কার্ডে!
নামে কিবা বেনামে।
বুঝিনি চিঠির কি ঘ্রাণ, স্বাদ – বিস্বাদ
বুঝিনি আকুতি,
দিয়েছো কি অব্যাহতি!
সত্যি বলছি- আমি পাইনি কোন আমন্ত্রণ-
নিমন্ত্রণ কিংবা অভিবাদন!
ক্যামনে আসি বলো ঐ কুঞ্জপথে।
আমি মেঠোপথ, বুনো ফুল
ছন্নছাড়া, করি হাজার ভুল!
সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯

একলা পুরুষ

আমি তোমার একলা পুরুষ
একলা থাকার সুখে
একলা একাই রইবো বেঁচে
একলা মরার শোকে
একা একাই এঁকে চলা
সাদা খাতার পাতায়
জমছে ধুলো সবুজ পাতায়
হচ্ছে ধূসর রঙ
রঙ মেখে আজ সঙ সেজেছি
লুকিয়ে বুকের ক্ষত
হাসছি দেখো কারণ ছাড়াই
লুকিয়ে কান্না অবিরত।।
ডিসেম্বর ১৮, ২০২২

বেঁচে থাকা

তুমি জানো মৃত্যু কাকে বলে?

তোমায় ছেড়ে দূরে থাকা

সে যে তারই নামান্তর।

 

দুঃখে, সুখে হাতে হাত রেখে

পাশাপাশি যুদ্ধ করার নামই বেঁচে থাকা।

 

নাইরোবি, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৩

একাকীত্ব

আজকাল বড্ড একাকিত্বে ভুগছি

নিজের সাথে সময় কাটানো ভুলে গেছি

এক সময় বড্ড অহংকার হতো- স্বমেহনের

কিছুই ভালো লাগে না একা একা

নিজেকে অসামাজিক ভাবা বন্ধ করতে হবে

 

নাইরোবি, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৩

 প্রিয়ম-৩

তুই চাইলেই আমি যাই ভুলে

আমার সকল সীমাবদ্ধতা

পাড়ি দেই উত্তাল সমুদ্র তোকে সাথে নিয়ে

জয় করি আমার সকল অজেয় মাইলফলক।।

 

তোর স্পর্শে আমি প্রাণ ফিরে পাই

গেয়ে উঠি সুরেলা গান বেসুরা কণ্ঠে

তোর আবদারে নিই কিনে ভোগ্য জঞ্জাল।

আলিঙ্গন করি কন্টকাকীর্ণ ক্যকটাস।।

 

যদি ব্যথা পাস উঠিস কেঁদে

জানবি আছি পাশে- শাসনে-আদরে

তুই শুধু হেসে খেলে তুই হয়ে ওঠ

আমি ভালোবেসে চুমে দেবো ঠোঁট।।

 

১১/৩/২১

প্রিয়ম -৫

আমি তোর জন্য বাঁচি

আর নিজের জন্য রচি

কবিতা, অ-কবিতা, না-কবিতা

আমার সোনামনি ছোট্ট বেবিটা।।

 

চোখের কাজল ঠোঁটের দুষ্টু হাসি

অভিনয় আর অভিমান বড্ড ভালোবাসি

আদায় করা ভালোবেসে অন্যায় আবদার

তুই যে আমার ছোট্ট ঘরের মস্ত দফাদার।।

 

তোকে দেখে দেখি আমার শৈশব প্রতিচ্ছবি

তুই যে আমার সুখ দুখের জিয়ন-মরণ চাবি

সকাল দেখি সন্ধ্যা দেখি কান্না-হাসি মেখে

কেমনে ভালো থাকি তোকে ঘর-বন্দি রেখে।।

 

০৬/০৭/২০২১

শিকদার পাড়া, কক্সবাজার

দূর্বোধ্য

অতপর বুঝলাম তুমি আমার নও

তুমি এক মরীচিকা, আলেয়া

আমার কবিতার মতো দূর্বোধ্য।

ইশ্বরও হয়তো বোঝে না তোমার মন

আমি তো কোথা ছাড়

তোমাকে বোঝার নেই কোন সাধ্য

তোমার মন এক অতল গভীর সাগর

আমি তো জানি না সাঁতার

ক্যামনে হবো ডুবুরি

খুঁজে আনবো তোমার

মনের কোনে লুকনো

সেই মহামূল্য রত্ন?

তাই ছেড়ে দিয়েছি তোমার আশা

তোমাকে জলাঞ্জলি দিয়েছি

প্রমত্তা উত্তাল সমুদ্রে।।

মিলন

যে জলে আগুন জ্বলে

সে জল নির্গমনেই প্রশান্তি

জল আর পাথরের মিলনে

ক্ষয়ে যায় পাথর বয়ে চলে জল

সম্মুখে সময়ের পরিক্রমায়

তেমনই ক্ষয়ে যাবো মোরা দুজনেই

ক্ষয়ে ক্ষয়ে মিশে যাবো শূন্যে

যে জলকনায় থেকেই সৃষ্টি

তবু মিলন আমাদের অনিবার্য

মহাবিশ্বের অমোঘ নিয়মে।।

 

 

শুনতে ও দেখতে চাইলে

https://youtu.be/_JeI8GJ8woQ

অস্থি

তোমার গায়ের গন্ধে এলেমেলো হয়ে যাই

পাগলের মতো ঘুরতে থাকি চতুর্দিক

নেশা জাগায়, মনে, অন্তরে শরীরে

আগুন জ্বলে- পেতে চায় তোমার স্পর্শ।।

 

তোমাকে আর পাওয়া হয় না- স্বপ্নেও

পাই ঘ্রাণ, অগ্রহায়ণেও ফসলের সোঁদা গন্ধেও

এই বদ্ধ ঘরে জ্বালাই না ধুপ- পাছে মুছে যায়

খুলি না জানালা-যদি উবে যায় সেই ঘ্রাণ

বসন্তের দক্ষিণা বাতাসে -ফুলেল সুঘ্রাণে।।

 

আমি চেটেপুটে খাই তোমার ঘাম তৃপ্তিতে

মেখে নিই ঘ্রাণ হাতে-গায়ে-মুখে স্বস্তিতে

তুমি তো মিশে আছো মোর সকল অস্তিত্বে

পুড়িয়ে ফেলো দেহ খুঁজে পাবে শেষ অস্থিতে।।